দ্য শেয়ার নিউজ ডেস্ক : গরম গরম বক্তব্য, জেলায় জেলায় ‘আমরা দাদার অনুগামী’ ব্যানার পোস্টার, দলীয় কর্মসূচিতে দোর্দদণ্ডপ্রতাপ নেতার অনুপস্থিতি- জল্পনার শীর্ষে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই জোড়াফুল ছেড়ে পদ্মে যোগদানের জন্য নন্দীগ্রামের তৃণমূল বিধায়ককে আহ্বান জানিয়েছেন। এবার শুভেন্দু ইস্যুতে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। বললেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের উত্থানের পিছনে শুভেন্দু অধিকারীরা অবদান অস্বীকার করা যাবে না।’পালটা তোপ দেগে তৃণমূলের তরফে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীর দল ছাড়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। ও আমাদের দলেই রয়েছেন। শুভেন্দুর নেতৃত্বদানের ক্ষমতা খুবই উজ্জ্বল। ও তৃণমূলের সম্পদ। যেকোনও দলেরই সম্পদ হতে পারেন উনি। তাই কিছু মানুষ শুভেন্দুর ভবিষ্যত অবস্থান নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।’

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির কথায়, ‘পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের শক্তিবৃদ্ধির পিছনে শুভেন্দু অধিকারীর অবদান মানতেই হবে। নন্দীগ্রামের মানুষের তাঁদের পরিবারের প্রতি আস্থা রয়েছে। আজ তৃণমূলের এই বাড়বাড়ন্তের পিছনে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনের বড় ভূমিকা রয়েছে। নন্দীগ্রাম আন্দোলনে অধিকারী পরিবারের বড় অবদান রয়েছে। কিন্তু আজ তাঁদের সেই অবদান কেউ মনে রাখেনি।’শুভেন্দু তথা অধিকারী পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একহাত নিয়েছেন অধীর। তিনি বলেছেন, ‘অভিষেককে রাজনৈতিক মঞ্চে এগিয়ে নিয়ে যেতে অনেককেই ছেঁটে ফেলছেন মমতা। এবার পালা শুভেন্দুর। তাঁর বিদ্রোহ তো স্বাভাবিক।’ কার্যত শুভেন্দু সহ গোটা অধিকারী পরিবারের প্রতি সমব্যথী হয়ে তৃণমূলের অন্দরের বিবাদ আরও চওড়া করতেই অধীর চৌধুরীর এই মন্তব্য বলে মনে করা হচ্ছে।