দ্য শেয়ার নিউজ ডেস্ক : বিহার ভোটের দিন ঘোষণা করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। ২৮ অক্টোবর হবে প্রথম দফার ভোট। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার ভোট হবে যথাক্রমে ৩ এবং ৭ নভেম্বর। ফল ঘোষণা ১০ নভেম্বর। করোনা আবহে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখেই এই নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। জানা গিয়েছে, প্রথম দফায় (২৮ অক্টোবর) ১৬ জেলার ৭১ বিধানসভার জন্য ভোট গ্রহণ করা হবে। ১৭ জেলার ৯৪ কেন্দ্রের ভোট হবে দ্বিতীয় দফায় (৩ নভেম্বর) এবং তৃতীয় দফায় (৭ ৭ নভেম্বর) হবে ১৫ জেলার ৭৮ কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ। বিহার বিধানসভা ভোটে এবার মোট ৭২ মিলিয়ান ভোটার তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন। মোট ২৪৩ আসনের মধ্যে ৩৮টি তফশিলি জাতি ও ২ তফশিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত। কোভিড স্বাস্থ্য বিধি বজায় রেখে বিহার ভোটে ৭ লক্ষ স্যানিটাইজার ইউনিট, ৪৬ লক্ষ মাস্ক, ৬ লক্ষ পিপিই কিট, ৬.৭ ফেস শিল্ড, ২৩ লক্ষ গ্লাভসের আয়োজন রাখা হচ্ছে। ৭.২ একবার ব্যহার্য গ্লাভসেরও আয়োজন থাকবে বলে জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা।
সূত্রের খবর, নিউ নর্মালে ভারতীয় নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সরাসরি অনলাইন ব্যবস্থার প্রয়োগ শুরু হচ্ছে বিহার থেকেই। প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র তোলা ও জমার কাজ অফলাইন-অনলাইনে করতে পারবেন। সিরিউরিটির অর্থও অনলাইনে জনা করা যাবে। অফলাইনে মনোনয়ন জনা করা হলে প্রার্থীর সঙ্গে মাত্র দু’জনকে থাকার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাত্র তিন জন প্রচার কাজ সারতে পারবেন। কনভয়ে পাঁচটির বেশি গাড়ি ব্যবহার করা যাবে না। প্রচারের জন্য বড় জমায়েত করা যাবে না। এক একটি বুখে ভোটারের সংখ্যা ১৫০০ থেকে কমিয়ে ১০০০ করা হয়েছে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা বলেন, দুনিয়াজুড়ে অন্তত ৭০ দেশে নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে এটুকু অন্তত স্পষ্ট যে এখনই পুরোপুরি তা নিয়ন্ত্রণে আসবে না। কিন্তু, করোনার জন্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াও দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ থাকতে পারে না। তাই ভারসাম্য রাখতেই ভোট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ২৯ নভেম্বর বিহারের বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগেই নতুন বিধানসভা গঠন করতে হবে।
জানা যাচ্ছে, করোনা আবহে মুজফ্ফরপুরের এক সমাজকর্মী ভোট বন্ধ করার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। কিন্তু বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আদালত নির্বাচন কমিশনের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। ২০১৫ সালে ১২ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দফায় বিহারের ২৪৩টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছিল। গণনা হয়েছিল ৮ নভেম্বর। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বেই এনডিএ এবার ভোটে লড়ছে। মোদী থেকে নাড্ডা- আগেই তা ঘোষণা করেছেন। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঁঝির ‘হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা’এবার এনডিএ-তে যোগ দিয়েছে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়াহার আরএলএসপি-ও শাসক শিবিরে যোগ দিতে পারে বলে খবর। এদিকে আরজেডি-র নেতৃত্বাধীন বিরোধী মহাজোটে রয়েছে কংগ্রেস ও বামেরা। তবে তাদের আসন রখা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
Leave A Comment
You must be logged in to post a comment.