দ্য শেয়ার নিউজ ডেস্ক : শুধু ৮ থেকে ৮০ নয়। কোনও বয়সের মানুষই এমন দুর্গাপুজো কোনওদিন দেখেননি। বাস্তবে দেখা তো দূরের কথা কল্পনাতেও ভাবা যেত না এভাবেও বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব পালন করা সম্ভব। ২০২০-এর দুর্গোৎসব তাই মানব জীবনকে শিখিয়ে গেল অনেক কিছু। এদেশে আজও অর্ধেকের বেশি সংখ্যক মানুষ কৃষিজীবী। এদেশের একটা বড় অংশের মানুষ আজও দুবেলা পেট পুরে খেতে পায় না। মানুষের বেঁচে থাকতে যে তিনটি বেসিক নিড দরকার হয়, সেই অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানেরও যোগান নেই বহু মানুষের কাছে। তাই সব পুজোই তাঁদের কাছে অন্যের খুশিতে নিজের আনন্দ। আর এবারের পুজো তো তথাকথিত বড়লোকদেরও মুখ শুকনো করে দিয়েছে। সেখানেই বিশিষ্ট সমাজসেবী সুখেন্দু বিশ্বাস(পান্না)-এর উদ্যোগে এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ভোর’-এর সহায়তায় নববারাকপুরে হয়ে গেল বস্ত্র উপহার উৎসব। অন্তত ২৫০ শাড়ি মহিলাদের জন্য এবং ২ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত শিশুদের নতুন বস্ত্র উপহার দেওয়া হল এই অনুষ্ঠান থেকে।
ছোটোরা পুজোয় নতুন পোশাক উপহার পেয়ে খুব খুশি। বড়রাও হাসি মুখে মানবিকতার বিনিময়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গিয়েছে। একেই অতিমারির বিপর্যয়, তার ওপর করোনাসুরের রক্তচক্ষু। এর মধ্যেই নতুন বস্ত্র পেয়ে সাধারণ মানুষও আপ্লুত ও উচ্ছ্বসিত। এরকম পরিবেশে উচ্ছ্বসিত উদ্যোক্তারাও। অর্থাৎ, বিশিষ্ঠ সমাজসেবী সুখেন্দু বিশ্বাস (পান্না) এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভোর-ও। তাদের দৃঢ় কণ্ঠে অঙ্গীকার, মানুষের জন্য উৎসবের মাঝে যে অনুষ্ঠান শুরু হল, তা থেমে থাকবে না। আগামি দিনগুলোতেও এরকমভাবেই মানুষের পাশে দাঁড়াবেন তাঁরা। তাই তারই ফলশ্রুতি হিসেবে শুধু উত্তর ২৪ পরগনার নব বারাকপুরই নয়, সুখেন্দু বিশ্বাস (পান্না) এবং ভোরের উদ্যোগে বস্ত্র বিতরণ শুরু হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের প্রত্যন্ত দুই গ্রামেও। শুধু বস্ত্র দান করেই নয়। অসংখ্য মানুষকে পেট ভরে খেতে দিলেন তাঁরা। আগামি দিনে তাঁদের উদ্যোগ ছড়িয়ে পড়বে গোটা বাংলায়। এমনটাই জানালেন উদ্যোক্তারা।
Leave A Comment
You must be logged in to post a comment.