দ্য শেয়ার নিউজ ডেস্ক : হিংসাত্মক কৃষক আন্দোলন ঘিরে কার্যত দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে দেশ। তবে ৪০ টির বেশি কৃষক সংগঠনের মাথা সংযুক্ত কিষান মোর্চার তরফে হিংসাত্মক আন্দোলনের তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। একইসঙ্গে যে ‘অসামাজিক’ লোকজন হিংসা ছড়িয়ে আন্দোলনকে কলুষিত করেছেন, তাঁদের সঙ্গে স্পষ্টত লক্ষ্মণরেখা টেনেছে মোর্চা। একটি বিবৃতিতে মোর্চার তরফে বলা হয়েছে, ‘আজ যে অবাঞ্ছিত এবং অগ্রহণযোগ্য ঘটনা ঘটেছে, তার নিন্দা করছি। সেজন্য আমরা দুঃখিত। যাঁরা এই ধরনের ঘটনায় যুক্ত ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে আমাদের বিচ্ছিন্ন করছি।’ জানা যাচ্ছে, গন্ডগোলের জন্য সিংঘু, গাজিপুর, তিকরি, মুকারবা চৌক, নানগ্লোই এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, জনসাধারণের সুরক্ষার স্বার্থে রবিবার বেলা ১২ টা থেকে রাত ১১ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত সেই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।

দীর্ঘ টালবাহানার পর প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্যাক্টর মিছিলের অনুমতি পেয়েছিলেন বিক্ষোভরত কৃষকরা। সেজন্য একাধিক শর্ত আরোপ করা হয়েছিল। নির্দিষ্ট রুটে মিছিল করতে হত। কিন্তু প্রজাতন্ত্র দিবসের সকাল থেকেই সম্পূর্ণ ভিন্ন ছবি ধরা পড়ে। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই মিছিল শুরু করেন কৃষকদের একাংশ। ব্যারিকেড ভেঙে দিল্লির দিকে এগিয়ে আসতে থাকেন তাঁরা। নির্ধারিত রুটও বদল ফেলেন। ব্যারিকেড ভেঙেই এগোতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। এমনকী দরজা ভেঙে লালকেল্লায় নিজেদের পতাকা তোলেন কৃষকরা। সেখানেও একপ্রস্থ সংঘর্ষ হয়। সেই ঘটনায় সংযুক্ত কিষান মোর্চার তরফে বলা হয়েছে, ‘আমাদের যাবতীয় চেষ্টা সত্ত্বেও কয়েকটি সংগঠন এবং কয়েকজন ব্যক্তি নির্ধারিত রুটের শর্ত লঙ্ঘন করেছেন এবং নিন্দনীয় কাজে জড়িয়ে পড়েন। এমনিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অসামাজিক লোকজনও ঢুকে পড়েছিলেন।আমরা সর্বদা মনে করি যে শান্তিপূর্ণ আল্দোলনই হল আমাদের সবথেকে বড় শক্তি। কিন্তু তাতে কোনওরকমভাবে বিচ্যুতি ঘটলেই আন্দোলন ধাক্কা খাবে।’