দ্য শেয়ার নিউজ ডেস্ক : খাবার খাওয়ার সময় তা পাকস্থলীতে যায় এবং হজম শুরু হয়ে যায়। আর খাবার যখন হজম না হয়ে উপরের দিকে মানে গলাতে উঠে আসে ও ঢোক গিলতে সমস্যা হয় তখন তাকে রিফ্লাক্স বলে। স্বরযন্ত্র ও গলার রিফ্লাক্সের মানে হচ্ছে পাকস্থলীর খাবার ও তার অ্যাসিড স্বরযন্ত্র বা গলার মধ্যে উঠে আসে। এটা দিনে বা রাতে যে কোনো সময় হতে পারে।যাদের রিফ্লাক্স থাকে তাদের সবার বুক জ্বালা বা হজমের অসুবিধা নাও থাকতে পারে। যাদের স্বরযন্ত্র ও গলার রিফ্লাক্স থাকে তাদের অনেকেরই বুক জ্বালা থাকে না।

গলার স্বর বসে যাওয়া, গলা বারবার পরিষ্কার করা, জল গিলতে অসুবিধা হওয়া, খাবার পর বা শোয়ার পর কাশি হওয়া, শ্বাস নিতে অসুবিধা বা শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া ও কষ্টকর বা বিরক্তিকর কাশি, এগুলো হচ্ছে মানে, আপনার রিফ্লাক্সের উপসর্গ রয়েছে।এছাড়া গলার ভেতর কিছু আটকে থাকা বা গলার ভেতর টিউমারের মতো কিছু বোধ করা। বুক জ্বলা, বুক ব্যথা, হজমের অসুবিধা বা ঢেকুরের সঙ্গে টক জল উঠে আসে। আর অনেক সময় গলায় টিউমারের মতো বাধা ও ঢোক গিলতে অসুবিধা হওয়া। বেশি সমস্যা হলে চিকিৎসা নেয়া উচিত। যাদের ওষুধে কাজ হয় না তাদের ক্ষেত্রে এনিটি রিফ্লাক্স সার্জারি করতে হয় এবং যাদের সার্জারি হয় তারা এলপিআর থেকে অনেক বছর সুস্থ থাকে। এমন ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাস বদলানো উচিত। যাতে রিফ্লাক্স কম হয় এবং ওষুধ ব্যবহার করা। যাতে পাকস্থলীর অ্যাসিড কম বের হয়। আর প্রয়োজনে সার্জারি করান, যাতে রিফ্লাক্স না হয়। আর অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন।