দ্য শেয়ার নিউজ ডেস্ক : ব্রণ বা ফুসকুড়ি নিয়ে চিন্তিত? ঠিকঠাক চিকিৎসায় ব্রণ বা ফুসকুড়ির হাত থেকে মুক্তি মেলে ঠিকই, কিন্তু তার জন্য যে সব ওষুধ বা ক্রিম বাজারে উপলব্ধ সেগুলি যেমন ব্যয়বহুল, তেমনই তা থেকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ও থেকে যায়। আর এখন তো বাড়ি থেকে বেরোনোটাও অনেক কমে গিয়েছে করোনা কিংবা লকডাউনের কারণে। ব্রণ হবার একটি অন্যতম কারণ হল অপরিষ্কার ত্বক। তাই ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে। নিয়মিত ব্রণ শুধু মুখে নয়, শরীরের অন্যান্য অংশেও হতে পারে। প্রাকৃতিক উপায়েও এই সমস্যা দূর করা যায়। জেনে নিন ভেষজ ঘরোয়া উপায়গুলো কী কী।

টক স্বাদের কদবেল খেতে অনেকেই ভালবাসেন। কাঁচা কদবেলের রস ব্রণের জন্য খুবই উপকারী। কাঁচা কদবেলের রস তুলোতে ভিজিয়ে ব্রণ আক্রান্ত জায়গাগুলোতে লাগান। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। কাজ হবে। পুদিনা পাতার রস করে নিয়ে সেটা দিয়ে আইস কিউব তৈরি করুন। ফুসকুড়ি ও ব্রণের উপর এই আইস কিউব ঘষুন ১০-১৫ মিনিট। এতে ফুসকুড়ি ও ব্রণের সংক্রমণ তো কমবেই সঙ্গে ত্বকের জ্বালাপোড়া ভাবও দূর হবে। পুদিনা পাতা ত্বকের অতিরিক্ত তেল এবং ব্রণের সংক্রমণ কমাতে খুবই উপকারী। টাটকা পুদিনা পাতা বেটে ত্বকে লাগান। ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর হয়ে যাবে। অতিরিক্ত গরমের কারণে ত্বকে যেসব ফুসকুড়ি এবং ব্রণ হয় সেগুলি দূর করতেও পুদিনা পাতা খুবই উপকারী। টাটকা পুদিনা পাতা বেটে ব্রণের ওপর ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন। এছাড়া পাকা পেঁপে চটকে নিন এক কাপের মতো। এর সঙ্গে মেশান এক চামচ পাতিলেবুর রস এবং প্রয়োজন মতো চালের গুঁড়ো। মিশ্রণটি মুখসহ গোটা শরীরে লাগান। ২০-২৫ মিনিট মাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। পেঁপে ছাড়াও ব্যবহার করতে পারেন ঘৃতকুমারীর রস। লবঙ্গ মূলত মসলা হিসেবে পরিচিত হলেও ব্রণ সারাতে এটি খুবই কার্যকর। লবঙ্গের তেল দিয়ে ত্বক মাসাজ করা খুবই উপকারী। ত্বকে ব্রণের সংক্রমণ বেড়ে গেলে লবঙ্গ গুঁড়ো করে তাতে গোলাপ জল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। ব্রণের জায়গাগুলোতে মিশ্রণের মোটা প্রলেপ দিন। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন কাজ পাবেন।