দ্য শেয়ার নিউজ ডেস্ক : হুগলির পুরশুড়ার জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জবাব দিলেন ভিক্টোরিয়া কাণ্ড নিয়ে। শুভেন্দু অধিকারীর স্লোগানের পাল্ট স্লোগান দিলেন বললেন, ‘অনেক সময় মা বোনেরা গান গেয়ে থাকেন, হরে কৃষ্ণ হরে রাম। আমি বলি, হরে কৃষ্ণ হরে রাম, বিদায় যাও বিজেপি, বাম। হরে কৃষ্ণ হরে হরে, তৃণমূল ঘরে ঘরে। মনে রাখবেন, তৃণমূল ঘরে ঘরে কাজ করবে। কেউ যদি ভুলভ্রান্তি করে, তাহলে দল তাঁকে শাসন করবে। দল শৃঙ্খলাবদ্ধ। এ দল কাউকে রেয়াত করে না। জুন পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন পাবেন, এরকম নয় যে ওই বিজেপির মতো প্রতিশ্রুতি দিয়ে মিথ্যা কথা বলছি যে সবার অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা জমা দেওয়া হবে। বিজেপি হচ্ছে একটা ওয়াশিং মেশিন। চোরগুলো যাচ্ছে, ওয়াশিং মেশিনে চান হচ্ছে, আর করলেই সানলাইটে সাদা হয়ে যাচ্ছে। বুঝলেন কিছু? যাঁদের অনেক টাকা আছে এবং যাঁদের অনেক টাকা গচ্ছিত আছে, তাঁদের জন্য বিজেপি। কালো টাকাকে সাদা করার জন্য কেউ কেউ লোভী আছে। কেউ কেউ ভোগী আছে। ভাবছে, বিজেপিতে গিয়ে নাম লেখাও। আমি বলছি, ভালো করে লেখাও। এরপর আর তৃণমূলে আসার চেষ্টা করবে না। আমরা তোমাদের নেব না। কাকে কাকে নিতে হয়, সেটা আমরা জানি, সম্মানীয় লোকেদের নেব। কিন্তু তোমাদের মতো এঁচোড়, মানে ইঁচোর, মানে এই চোর, মানে এঁচোড়ে পাকাদের আমরা নেব না। যাঁরা যাঁরা লাইন দিয়ে আছেন, বলব তাড়াতাড়ি চলে যান, ট্রেন ছেড়ে দেবেন। তাড়াতাড়ি যান। ওদের পায়ে গিয়ে পড়ুন। বাংলা আপনাদের চায় না, তৃণমূল আপনাদের চায় না।’

ভিক্টোরিয়া প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আমাদের সবার নেতা। সারা দেশের, সারা বিশ্বের নেতা তিনি। তাঁর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গেলাম। আর এত বড় সাহস যে কয়েকটা উগ্র ধর্মান্ধ গদ্দার আমাকে টিজ করল। তাও দেশের প্রধানমন্ত্রীর সামনে! ‌তোমরা যদি নেতাজি নেতাজি করতে আমি তোমাদের স্যালুট জানাতাম। ওরা আমায় চেনে না। আমায় যদি কোনও মা ঘরে বাসন মেজে দিতে বলে আমি মেজে দেব। এটা ছেলে মেয়ে সকলের কাজ। আমি ঘরের কাজ করতে ভালবাসি। কিন্তু আমাকে যদি কেউ বন্দুক দেখায় তা হলে আমি সিন্দুকে বন্দুক দেখাব। কিন্তু আমি বন্দুকে বিশ্বাস করি না, রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। রাজনীতি দিয়ে আমি এর জবাব দেবই।বাংলাকে অপমান করেছে ওরা। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে অপমান করেছে। এর আগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অপমান করেছে বিজেপি। ওদের নেতা বলে গেছে কবিগুরুর জন্মস্থান নাকি শান্তিনিকেতন। আসলে তা জোড়াসাঁকো। শান্তিনিকেতনে তিনি বিশ্বভারতী তৈরি করেছিলেন। তার আগে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে বিজেপি। বিরসা মুন্ডার নামে অন্য লোকের গলায় মালা পরিয়েছ! মানুষ এর জবাব দেবে।’