দ্য শেয়ার নিউজ ডেস্ক : ফের দুঃসংবাদ চলচ্চিত্র জগতে। প্রয়াত কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী এস পি বালাসুব্রহ্মণিয়ম। প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে লড়াইয়ের পর হার মানলেন তিনি। শুক্রবার চেন্নাইয়ের এমজিএম হেলথকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন সঙ্গীতশিল্পী। এস পি বালাসুব্রহ্মণিয়মের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন তাঁর ছেলে এস পি চরণ। ৭৪ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে আগস্ট মাসের ৫ তারিখ হাসপাতালে ভর্তি হন কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী এস পি বালাসুব্রহ্মণিয়ম। চিকিতসাধীন থাকাকালীন সেপ্টেম্বরের ৪ তারিখ তাঁর কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু গত ২৪ সেপ্টেম্বর তাঁর শারীরিক অবনতির কথা জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, বহু পুরস্কারে ভূষিত বালাসুব্রহ্মণম গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডে নাম তুলেছিলেন কেরিয়ারে ৪০ হাজারেরও বেশি গান গেয়ে। তামিল, তেলুগু, কন্নড়, মালয়ালম এবং হিন্দি-সহ ১৬টি আঞ্চলিক ভাষায় তিনি গান গেয়েছেন। পাঁচ দশকের সুরেলা কেরিয়ারে শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসাবে ছবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ২৫ বার নন্দী অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তিনি।

২০০১ সালে সঙ্গীতে তাঁর অবদানের জন্য ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী এবং ২০১১ সালে তাঁকে পদ্মভূষণ সম্মানে সম্মানিত করে। কেলাডি কানমনি , থিরুডা থিরুডা , কাধালন , উল্লাসমের মতো ছবিতে তাঁর গান চিরস্মরণীয়। হিন্দি ছবি ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘রোজা’তে তাঁর গাওয়া গান কোনওদিন ভোলার নয়। গানের পাশাপাশি অভিনয় দিয়েও এস পি বালাসুব্রহ্মণিয়ম ভক্তদের মন জয় করেছিলেন। বহু ছবিতে তাঁর অভিনয় দক্ষতা ফুটে উঠেছিল। তাঁর ছেলে বলেছেন, অনুরাগীদের মনে আজীবন সঙ্গীতের মধ্যে দিয়েই বেঁচে থাকবেন বাবা। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ভারতীয় চলচ্চিত্র ও সঙ্গীত জগত। এক অপুরণীয় ক্ষতি, বলছেন সঙ্গীতপ্রেমীরা।