দ্য শেয়ার নিউজ ডেস্ক : সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই অ্যাকটিভ টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। নিজের সব কিছু সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পছন্দ করেন তিনি। টলিউডের অন্যান্য নায়িকাদের মত সারাক্ষণ বাহারি ফটোশুট বা ইনস্টাগ্রাম রিল ভিডিও নয়। বরং সমসাময়িক প্রসঙ্গ বিশেষ করে রাজনীতি নিয়ে তিনি বরাবরই সরব থাকেন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল থেকে। তাই বলে ঝোঁকের বশে কিন্তু নিজের গতিপথ কখনো বদলে ফেলেন না শ্রীলেখা মিত্র। একাধারে তিনি যেমন নিজের অভিনয়টা যত্ন নিয়ে করেন। তেমনই অন্যদিকে তিনি প্রতিবাদী এবং স্পষ্টবক্তা। সত্যি কথা বা স্পষ্ট কথা সহজভাবে বলে দিতে তাঁর কোনও দ্বিধা হয় না। তাই বোধহয় এবার রাজনীতিতে আসতে চলেছেন অভিনেত্রী। এই সংক্রান্ত একটি ফেসবুক পোস্ট থেকেই এবার জল্পনা উঠল যে, খুব শীঘ্রই বোধহয় বামপন্থী শিবিরে দেখা যেতে পারে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রকে।

প্রসঙ্গত, বরাহনগরে সিপিএমের পক্ষ থেকে একটি ফ্রি কোচিং ক্লাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী। বাম মঞ্চ থেকেই বক্তব্য রাখার ছবি পোস্ট করেছেন টুইটারে। ক্যাপশনে লিখেছেন, “আর কিছু বলার প্রয়োজন নেই”। তাঁর মতে, লাল পতাকাকে সমর্থন করতে গেলে শিক্ষার প্রয়োজন হয়। এরপরই শুরু হয়ে যায় গুঞ্জন। তবে কি আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে কাস্তে হাতুড়ি তারা চিহ্নে দাঁড়াতে দেখা যাবে অভিনেত্রীকে?

আসল উত্তর জানেন তো সবই শুধু শ্রীলেখা মিত্র। যদিও তিনি ওই ছবিটি পোস্ট করে সঙ্গে ক্যাপশনটায় একটা সাসপেন্স রেখে দিয়েছেন। তাই বোঝা যাচ্ছে না, আসল উত্তরটা কী। যদি ধরেই নিই শ্রীলেখা মিত্র আসছেন রাজনীতিতে। তাহলে বিষয়টা কিন্তু মন্দ হবে না। গ্ল্যামার জগত থেকেই সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েছেন একের পর এক অভিনেতা-অভিনেত্রী। তা তিনি সেই অর্থে বর্ষীয়ান (যদিও নায়িকাদের বয়স বাড়ে না বোধহয়) সন্ধ্যা রায় হন অথবা মুনমুন সেন। মাঝের সময়ের দেবশ্রী রায়, রূপা গাঙ্গুলি, লকেট চট্টোপাধ্যায় অথবা হাল আমলের মিমি চক্রবর্তী হোন কিংবা নুসরত জাহান। অনেকেই সিলভার স্ক্রিনের পাশাপাশি বাস্তবের পথে-ঘাটে মাঠে-ভোটে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাহলে নয় কেন শ্রীলেখা মিত্রের মতো মানুষ? বিশেষ করে রাজনীতির ময়দান সবসময়ই খোঁজে প্রতিবাদী, স্পষ্টবক্তা আর মানুষের উপকারে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারা মানুষকে। সেই দিক থেকে শ্রীলেখা মিত্র কতটা প্রতিবাদী বলার অপেক্ষা রাখে না। তিনি স্পষ্টবক্তা না হলে কী আর সটান প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায় থেকে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত-র দিকে আঙুল তুলতে পারেন নিজের কেরিয়ারের ক্ষতির জন্য? শ্রীলেখার রয়েছে মানুষ ছাড়াও অন্যান্য জীবজন্তুদের প্রতি প্রচণ্ড ভালোবাসা। আবার সাম্প্রতিককালে তাঁকে দেখা গিয়েছে আমফানে বিধ্বস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে। এমন মানুষ রাজনীতিতে আসলে তা অনেকেরই সমর্থন যোগাবে। বিশেষ করে শ্রীলেখা মিত্রর জনপ্রিয়তা কিন্তু মাথায় রাখতে হবে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে। আর এই জনপ্রিয়তা তিনি শুধু সৌন্দর্যের জন্য কিংবা পর্দায় কিছু কল্পনার চরিত্রে অভিনয় করে অর্জন করেননি। শ্রীলেখার এখনকার জনপ্রিয়তা তাঁর ওই স্পষ্টবক্তা এবং প্রতিবাদী চরিত্রের জন্য। রাজনীতির ঘাষে এত গ্ল্যামার কুইনের পা-ই তো পড়ল। তাহলে ক’পা চলে আর একটা ইতিহাসে থেকেই যান না ‘শ্রীলেখা’।