দ্য শেয়ার নিউজ ডেস্ক : সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের সভা থেকে ঘোষণা করেছেন যে তিনি আসন্ন নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকেই লড়বেন। তারপর সৌগত রায় বলেন ক্ষমতা থাকলে শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়ে দেখান। সেই আর সন্ধেবেলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বললেন, ‘আপনি বলেছেন নন্দীগ্রামে দাঁড়াবেন। কিন্তু কোনও সভায় দাঁড়িয়ে বিজেপি বলতে পারে না যে কে কোথায় দাঁড়াবে। এখানেই বিজেপির সঙ্গে আপনাদের কোম্পানির তফাৎ। এটা একটা শৃঙ্খলাপরায়ণ দল। ‌আমাকে পাঠিয়ে দিক বা অন্য কাউকে নন্দীগ্রামে দাঁড় করাক। লিখে রাখুন, সন্ধেবেলায় ঘড়িতে সময় দেখে তারিখ দিয়ে লিখে রাখুন, হাফ লাখ ভোটে যদি নন্দীগ্রামে মাননীয়াকে হারাতে না পারি আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। নন্দীগ্রামে আজ ৭টা জেলা থেকে ৩০ হাজার লোককে জড়ো করেছিল তৃণমূল। ৮০০টা গাড়ি ছিল। আর ওই সভা কোনও রাজনৈতিক দলের সভা নয়, হায়দরাবাদের একটা পার্টি আছে, ওই পার্টিটার মতো সভা ছিল। ‌তিনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) প্রতি ৫ বছর অন্তর নন্দীগ্রামে যান। যখন ভোট আসে তখন যান। তার আগে তাঁর নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়ে না। ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর গিয়ে আমাকে প্রার্থী ঘোষণা করে এসেছিলেন। আজকে ঠিক ৫ বছর পর ভোটের আগে নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়েছে। ওই পার্টির নেত্রীর এত বিরাট বুদ্ধি যে নিজেই ২৯৪টি আসনে লড়েন। প্রতিটি জেলায় তিনি নিজেই অবসার্ভার। ‌বিহার থেকে একটা ঠিকাদার এজেন্সিকে নিয়ে এসেছে। যার বুদ্ধি ধার করতে হয়েছে। এখানেই বিজেপি জিতে গিয়েছে।’

শুভেন্দু অধিকারীর আরও অভিযোগ, ‌অষ্টম শ্রেণির বইতে সিঙ্গুরের কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু নন্দীগ্রামের আন্দোলন নিয়ে একটি কথাও নেই।‌